যশোর শিক্ষা বোর্ডের আলোচিত চেক জালিয়াতি মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। একই সাথে অভিযুক্ত ১১ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া, চাজশিটে বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান ড. মোল্লা আমির হোসেন ও সচিব প্রফেসর এ.এম.এইচ আলী আর রেজাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে দুদকের করা আবেদন আদালতে মঞ্জুর হয়েছে। যশোরের সিনিয়র স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) শেখ নাজমুল আলম এ আদেশ প্রদান করেন।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের তৎকালীন উপ-পরিচালক আল-আমিন শিক্ষা বোর্ডের আলোচিত চেক জালিয়াতি মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেছিলেন। চলতি ২০২৫ সালের ২৮ জানুয়ারি দুদকের করা চার্জশিটের উপর আদালতে শুনানি হয়।
ওই সময় আদালতের বিচারক আদেশের জন্য ১৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য্য করেন। বুধবার ধার্য্যদিনে সিনিয়র স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) শেখ নাজমুল আলম চার্জশিট গ্রহণ এবং অভিযুক্ত পলাতক ১১ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ প্রদান করেন।
আদালতে যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন, যশোর শিক্ষা বোর্ডের বরখাস্ত হওয়া হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম, ঠিকাদার ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক শরিফুল ইসলাম বাবু, শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার আশরাফুল আলম, পোস্ট অফিসপাড়ার গাজী নূর ইসলাম, বড় বাজার জামে মসজিদ লেনের প্রত্যাশা প্রিন্টিং প্রেসের মালিক রুপালী খাতুন, উপশহর ই-ব্লকের সহিদুল ইসলাম, রকিব মোস্তফা, শিক্ষা বোর্ডের সহকারী মূল্যায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, নিম্নমান সহকারী জুলফিকার আলী, চেক ডেসপাসকারী মিজানুর রহমান ও কবির হোসেন।
উল্লেখ্য, যশোর শিক্ষা বোর্ডের ৩৮টি চেক জালিয়াতি করে পৌনে ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম ও ঠিকাদার শরিফুল ইসলামসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। এরপর ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।
খুলনা গেজেট/এএজে